কটনবাড ব্যবহারে আপনার মৃত্যু হতেপারে
আমেরিকা, কানাডা ও ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কটনবাডের প্যাকেটের ওপরে সতর্কতামূলক বাণী লেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।আমেরিকায় ৪০ বছর বয়সী এক অদিবাসী ড্যানিয়েল সেলট মারা যান। মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখা গেছে, তার বহিঃকর্ণেরইনফেকশন ছিলো, যা কানের পর্দা ছিদ্র করে মেনিনজাইটিস সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিন বারবার কটন বাডব্যবহারের ফলে তার বহিঃকর্ণে ইনফেকশন হয় এবং পরে তিনি আরও বেশি কটন বাড ব্যবহার করাতে তার বহিঃকর্ণের ইনফেকশন মধ্যকর্ণ থেকে অন্তঃকর্ণে বিস্তৃতি লাভ করে।
ডাক্তাররা তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাত্রাতিরিক্ত কটনবাডের ব্যবহারকেই উল্লেখ করেছেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কটনবাড প্রস্তুতকারীপ্রতিষ্ঠান ইউনিলিভারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কটনবাডের ব্যবহার শত বছর ধরে চলে আসছে। আমরা শিশুদের কানের যত্ননেয়ার জন্য ৭০-এর দশক থেকে এটা প্রস্তুত করছি তবে প্রাপ্তবয়ষ্কদের মাঝে এটার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখন সময় এসেছে এটা নিয়ে ভেবে দেখার।
বেশিমাত্রায় কানের ভিতরে বার্ডস ঢুকালে আপনারও এই বিপদটা হতে পারে। যেমনটা হয়েছে নাগপুরের এক ব্যক্তির।রোজকার অভ্যেসমতো কটনবাড দিয়ে কান পরিষ্কার করছিলেন তিনি। বেশ খানিকটা ভিতরেই ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বাডটা।
এরপর যখন তিনি বাডটা বের করেন, তখন বাডের তুলোর বলটা থেকে যায় কানের ভিতরেই। কিন্তু, সেটা নজর এড়িয়ে যায় তার।এরপর দিনপাঁচেক কাটতেই কানে অসহ্য ব্যথা। অগত্যা ডাক্তারের কাছে ছোটেন তিনি। ডাক্তার পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, তুলোরবলটা রয়ে গেছে কানের ভিতরেই।কানের ভিতরের চুল জড়িয়ে, পুঁজ হয়ে একাকার কাণ্ড। এরপর ওই চিকিত্সক অটো অ্যান্ডোস্কপি করে বের করেন সেই তুলোর বল।
No comments