রহস্যময় এক শব্দ মহাশূণ্যের গভীরে
এখন পযন্ত সর্বমোট ১৭ বার একই শব্দ শুনতে পেরেছে জতিবিজ্ঞানীরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, মহাশূণ্যের গভীর থেকে শব্দটা পাওয়া যাচ্ছে। তবে সঠিক ভাবে কেও বলতে পারছেনা যে, কী কারণে কোন জায়গা থেকে সঠিক এই শব্দটা আসছে। এই শব্দের স্থায়ীত্ব প্রায় ১০ মিলি সেকেন্ড। দ্রুতগামী বেতার তরঙ্গ হিসাবে ছায়াপথের বাইরের
কোন জায়গা ভেসে আসছে। তবে এক গবেষণায় দেখা গিছে যে, মহাশূণ্যের এই শব্দের অন্তত কয়েকটির শব্দ পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। তবে এটা কোনো সংকেতও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মহাকাশের এই গভীর থেকে ভেসে আসা শব্দটি দ্রুতগামী বেতার তরঙ্গটি এর আগেও পাওয়া গিয়েছিল। সেই শব্দের সঙ্গে তুলনা করে মনে হচ্ছে যে, কোনো অস্বাভাবিক কারণেই এ রকম এই শব্দ হচ্ছে। গত বছরে একদল বিজ্ঞানীরা জানান, মহাকাশ থেকে কিছু কিছু বার্তা সুনির্দিষ্ট শৃঙ্খলা মেনে প্রবাহিত হতে পারে। তবে নতুন এক গবেষণায় ওই শব্দ বা বার্তার উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই উৎসের সম্ভাব্য ধরন কিছুটা ইঙ্গিত মেলে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যার এক অধ্যাপক জেমস কর্ডস বলেন, ‘দ্রুতগামী বেতার তরঙ্গের উৎস যা-ই হোক না কেন? সেটা কয়েক মিনিটেই নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। আমরা অনেক দূর থেকে এই সংকেত পাচ্ছি। এর মানে হচ্ছে যে, সেগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী তরঙ্গ। সম্ভবত অন্য কোনো ছায়াপথের নিউট্রন নক্ষত্রই ওই রহস্যময় শব্দের উৎস।
No comments